1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

২৫ জানুয়ারি ২০১৯

নেপালকে অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, এক যুগ ধরে চলমান মাওবাদী সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছে নেপালের ট্রাইব‌্যুনাল৷

https://p.dw.com/p/3C9rJ
ছবি: Getty Images/AFP/N. Roberts

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো বিচারিক প্রক্রিয়াটি খুবই দুর্বলভাবে সাজানো হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত একটি মামলারও নিষ্পত্তি হয়নি৷ ২০১৫ সালে নেপালে দুটো কমিশন গঠন করা হয় সরকার ও মাওবাদীদের নিপীড়ন প্রমাণের লক্ষে৷ সেই সময় চলমান গৃহযুদ্ধে ১৭ হাজার নিহত  এবং অগণিত নিখোঁজের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়৷

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি স্বাক্ষরিত জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার দিতে নেপালের অবশ্যই একটি সমাধানে আসতে হবে৷ নতুবা শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না৷

মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৩ বছর আগে ন্যায়বিচার দেওয়ার লক্ষ‌্যে এই কমিশন গঠিত হয়েছিল৷ কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ হতে চললো অথচ ন্যুনতম একটি বিচারিক প্রক্রিয়াও শেষ হয়নি৷ অচিরেই কমিশন দুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে৷ নেপাল প্রশাসনের প্রতি কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

উল্লেখ্য, কমিশন গঠনের পর ৬০ হাজার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়৷ এর মধ্যে একটি কমিশন ৩ হাজার গুমের অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করে এবং অন্যটি ধর্ষণ ও হত্যার মতো অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল৷

যুদ্ধাপরাধের শিকার সুমন অধিকারী বলেন, ‘‘শুধু শুধু কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোতে কিছুই হবে না, আমাদের এমন একটি কমিটি দরকার, যাদের আমরা বিশ্বাস করতে পারবো, যারা সত্যিই ন্যায়বিচার দেবে৷’’

২০০৬ সালে শেষ হওয়া এই সংঘাতে শান্তি প্রক্রিয়া চলমান৷ কিন্তু বিদ্রোহী যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেই এখন রাজনীতির অঙ্গনে পা রেখেছেন বলে দাবি করছেন বিশ্লেষকরা৷ এমনকি ক্ষমতাসীন দলেও যুদ্ধাপরাধীরা রয়েছে৷ তারা বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারেন এমন আশঙ্কাও রয়েছে জনমনে৷

এফএ/এসিবি (এএফপি)