1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে সার্বিয়াকে পাশে চায় জার্মানি

২ এপ্রিল ২০২২

সার্বিয়াতে রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটি অনেকটাই রাশিয়াঘেঁষা অবস্থান নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/49Nm6
Westbalkanreise von Außenministerin Baerbock Aleksander Vucic Serbien
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

এমন পরিস্থিতে জার্মানি চাইছে বলকান এই রাষ্ট্রটি যেন চলমান সংকটে ইউরোপের জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে থাকে৷

গত ডিসেম্বরে জার্মানিতে ক্ষমতায় আসে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার৷ ক্ষমতায় আসার পরই বলকান রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে দেশটি নিজের অবস্থান আরো জোরদার করতে চাইছে৷

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর বলকান রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে আরো সতর্ক হতে দেখা গেল জার্মান সরকারকে৷

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এরইমধ্যে বলকান রাষ্ট্র বসনিয়া-হারৎজেগোভিনা, কসোভা এবং সার্বিয়া সফর করেছেন৷ সফরে তিনি যে বার্তাটি দিতে চাইছেন তা হলো বলকান রাষ্ট্রগুলোকে জোটভুক্ত করতে প্রস্তুত নীতিনির্ধারকেরা৷

বলকান রাষ্ট্রগুলো নিয়ে জার্মান সরকারের আগ্রহ বোঝা গিয়েছিল ওলাফ শলৎসের কথায়ও৷ গত ২৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘উত্তর মেসিডোনিয়া এবং আলবেনিয়াকে ইউরোপের জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আলোচনা দ্রুত শুরু করা দরকার৷’’      

এদিকে, রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সার্বিয়ার নির্বাচন নিয়ে ডয়চে ভেলে কয়েকজন জার্মান সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলেছে৷

জার্মান সংসদের পশ্চিম বলকান রাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিনিধি আদিস আহমেতোভিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বলকার রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে বর্তমান সরকার আগের সরকারের চেয়ে আলাদা কৌশল মেনে চলবে৷ বলকানের ছয়টি রাষ্ট্রকেই আমরা সমানভাবে দেখতে চাই৷’’ 

রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ে সার্বিয়ার অবস্থান ব্যখ্যা করতে গিয়ে আদিস আহমেতোভিক আরো বলেন, ‘‘যদিও বিভিন্ন সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাশিয়া বিষয়ে সার্বিয়ার দোদুল্যমান অবস্থানকে জার্মানি মৌন সমর্থন দিয়েছিল কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এমন অবস্থানে থাকার আসলে কোনো সুযোগ নেই৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে সার্বিয়া সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থান দেখতে চাই৷ এই মুহূর্তে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার সময়৷ এটি আপস-মীমাংসার সময় নয়৷''      

এদিকে জার্মান সংসদের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কমিটি বিষয়ক সবুজ দলের প্রধান অ্যান্টোন হোফরাইটার বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার পথে সার্বিয়াকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে৷ সার্বিয়ারকে অবশ্যই গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসতে হবে এবং দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে৷ তাছাড়া ইউরোপের সহযোগীদের সাথে এসে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানাতে হবে৷’’

একই কথা বললেন জার্মান পার্লামেন্টের মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিটির মুক্ত গণতন্ত্রী দলের প্রধান রেনা আলটও৷ তিনি বলেন, ''পূর্ব এবং পশ্চিমের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের দোদুল্যমান অবস্থা প্রমাণ করে যে রাশিয়ার উপর অবরোধ আরোপে তার দ্বিমত রয়েছে৷’’ 

সার্বিয়ার নির্বাচনে ইউক্রেন রাশিয়ার হামলার মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মত তার৷ তার ধারণা, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার কারণে সার্বিয়ার নির্বাচনে বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেমন দুর্নীতি, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয় চাপা পড়ে যাচ্ছে৷   

তবে শুধু সরকারি জোটই নয়, সংসদের বিরোধী দল যেমন খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ) খ্রিস্টীয় সামাজিক ইউনিয়নও (সিএসইউ) সার্বিয়া বিষয়ে একই মত পোষণ করছে৷ রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে সার্বিয়া ইউরোপের পাশে থাকুক এমন মত তাদের৷

সংসদে বিরোধীদলের বিদেশ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র ইয়্যুর্গেন হার্ডট বলেন, ‘‘সার্বিয়া যদি সত্যিই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদান করতে চায় তাহলে দেশটির সরকারকে অবশ্যই ভ্লাদিমির পুটিনের পক্ষ ছেড়ে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে একত্রে দাঁড়াতে হবে৷’’

নেনাড ক্রাইসার/আরআর

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান