1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ নিশ্চিহ্ন হবে’

২২ অক্টোবর ২০২২

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না৷ এমনকি তারা ১০টি আসনও পাবে না৷''

https://p.dw.com/p/4IYDZ
Bangladesch | BNP Parteiveranstaltung
ছবি: Kazi Fazla Rabby

তিনি বলেন, ‘‘এই দেশে তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া কোনো অবাধ সু্ষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না৷’’ এসময় তিনি সরকারকে পদত্যাগের দাবি জানান৷

শনিবার খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন৷ খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়৷

তিনি বলেন, ‘‘জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে৷ কিন্তু জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা যায় না৷’’

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার এই বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি৷

দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে বিএনপি৷ জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের ‘হত্যার’ প্রতিবাদ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি৷

খুলনার এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএনপির  স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ৷

বাধা ও সংঘর্ষ

তার আগে সমাবেশ স্থলে আসার পথে বিএনপির নেতা কর্মীদের বাধা দেয়ার খবর প্রকাশ  করেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো৷ প্রথম আলোর এক খবরে বলা হয়, দুপুরের পর থেকে খুলনা নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা৷ কোনো কোনো এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের৷ এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে৷ বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে৷

সমাবেশে ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃখলা বাহিনীর বাধার' ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন৷ খুলনাবাসী অসাধ্য সাধন করেছেন৷’’

আরআর/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান