1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে: সুপ্রিম কোর্ট

৬ মার্চ ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়লো রাজ্য সরকারের। শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

https://p.dw.com/p/4dD21
সন্দেশখালি-কাণ্ডে ধৃত শেখ শাহজাহান
গ্রেপ্তারের পর শেখ শাহজাহানছবি: Subrata Goswami/DW

মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সন্দেশখালি-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কিন্তু রাজ্য সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকবে। অর্থাৎ, শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সিবিআইয়ের দল ভবানী ভবনে পৌঁছে গেলেও শাহজাহানকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, মামলার কাগজপত্রও সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়নি। এবিষয়ে আইন কী বলছে, তা জানতে ডয়চে ভেলে যোগাযোগ করেছিল আইনজীবী অরিন্দম দাসের সঙ্গে। অরিন্দম জানিয়েছেন, ''সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে হাইকোর্টের রায় মানতে বাধ্য রাজ্য। শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে না দেওয়া বেআইনি কাজ।''

রাজ্যের আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেছিলেন, যেহেতু হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে, তা-ই শাহজাহানকে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি রাজ্য সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদন জানান। জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই এই মামলাটি শোনার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু আদালত তা মেনে নেয়নি। বুধবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মামলাটি দায়ের করতে বলা হয়। সেই মতোই বুধবার মামলাটি বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে ওঠে। সেখানে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে এবং হাইকোর্টের রায় মেনে শাহজাহানকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে আরেকটি মামলা করেছে ইডি। বুধবার সেই মামলারও শুনানি হতে পারে।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই ভবানী ভবনের দিকে রওনা হয়েছে সিবিআইয়ের দল। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়াই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।

সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। শাহজাহানের সঙ্গে তার ঘনিষঠ সম্পর্ক ছিল বলেই রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য। জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেপ্তারের কিছুদিনের মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। কিন্তু সেখানে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। মারমুখী শাহজাহানের সমর্থকদের হাতে আহত হন এক ইডি কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের উপরেও আক্রমণ চালানো হয়।

এরপর সন্দেশখালিতে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। নারীদের উপর অত্যাচারের কাহিনি সামনে আসে। কিন্তু শাহজাহান দীর্ঘদিন ফেরার ছিলেন। অবশেষে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের বিরোধীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও শাহজাহানকে 'বাঁচানো'র চেষ্টা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)